চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা – ঢাকা এর অগ্রগতি এবং অর্জন

”চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরাঢাকা” ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রকার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক জটিলতা অতিক্রান্ত করে বর্তমানে এটি  একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনের বলিষ্ঠ নের্তৃত্ব ও সকলের সহযোগীতায় এই সংগঠনটিকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে যারা বিগত বৎসর গুলিতে সংগঠনের কার্যনিবাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন তাঁদের ঐকান্তিক চেষ্টা, মেধা, শ্রম, অর্থের বিনিময়ে আজকের ”চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা – ঢাকা”। বর্তমানে ইসি কমিটিও পূর্বের ধারাবাহিকতা এবং নিজেদের ঐকান্তিক চেষ্ঠা ও অনুদানে ফোরামের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছে। বর্তমান নির্বাহী কমিটির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্জন রয়েছে।

সেই অর্জনসমূহের আংশিক চিত্র নিম্নে তুলে ধরা হল:

ক্রমিক নং

অগ্রগতি এবং অর্জন

০১।

সাধ্য ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা উত্তরা ১১ নং সেক্টরে প্রায় ৯০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট  ক্রয় করেছি। যাহার রেজিষ্ট্রেশন, মিউটেশন সহ যাবতীয় কার্যক্রম সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের বর্তমান সভাপতির ঐকান্তিক চেষ্টায় এবং কার্যকরী পরিষদের সহায়তায় ও অতীতের কিছু আর্থিক ব্যালেন্সে সাথে বর্তমান কার্যকরী পরিষদের ব্যক্তিগত চাঁদায় এই মহান কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। 

০২।

নিজস্ব চাঁদা, অনুদান ও তহবিল হতে অফিসের যাবতীয় আসবাবপত্র - চেয়ার, টেবিল, আলমিরা, IPS ক্রয় করে ফ্ল্যাটকে অফিসে রূপান্তর করা হয়েছে।

০৩।

অফিসে সভা করার সুবিধার্থে  মিটিং রুমকে উপযোগী করে সজ্জিত করা হয়েছে, যেখানে বৃহদাকার মিটিং টেবিল ও চেয়ার সহ প্রায় ৩৫ জনের বসার উপযোগী ব্যবস্থা করা হয়েছে।

০৪।

বিগত বৎসরগুলিতে আমাদের সংগঠনে কার্যকারী পরিষদের তালিকা, অডিট রিপোর্ট ইত্যাদি সমাজ কল্যাণ পরিষদের আওতাভুক্ত না থাকায়  এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের ফোরামের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের উপক্রম হয়েছিল, যাহা আমাদের সভাপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় সফলভাবে উত্তরণ হতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া, বিগত এজিএম এর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমরা ফোরামের গঠনতন্ত্র’কে পুনঃর্বিন্যাস করে সমাজ কল্যান পরিষদের নিকট হইতে অনুমোদন নিয়ে তাহা যুগোপযোগী করেছি।

০৫।

ফোরামের সমাজ কল্যাণমূক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কুড়িগ্রাম এবং উত্তরা ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ নং সেক্টরের গরীব ও শীতার্থ মানুষের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২০০০ লোককে শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছি।

০৬।

২০২২ সালে মিরশ্বরাই বেড়াতে যাওয়া নাজিব হাটের ১১ জন ছাত্র মর্মান্তিক ট্রেন দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায়, এবং কিছু ছেলে মারাত্বক ভাবে আহত হয়। আমরা নিহত ও আহতদের আর্থিক দুরাবস্থায় ও নিহতদের পরিবারসমূহের সহায়তার জন্য প্রায় ২,৫০,০০০ টাকা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে বন্টন করি। যাহা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টিভি চ্যানেল এবং প্রেস মিডিয়াতে প্রচার করা হয় এবং “চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা - ঢাকা” এবং এর সদস্যগণের ভূয়সী প্রসংসা করা হয়।

০৭।

২০২২ ইং সালে ফোরামের সকল সদস্যের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সাভারের আশুলিয়াতে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে ফ্যামিলি-ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

০৮।

ফোরামের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কার্যক্রম হিসাবে সদস্য সংখ্যা ৭১০ হইতে ৮১৮ এ উন্নীত করা হয়।

০৯।

ফোরামে বিভিন্ন আর্থিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পৃষ্টপোষক সদস্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে এই পর্যন্ত ২১ জন পৃষ্ঠপোষক সদস্য সংগ্রহ করা হয়।

১০।

তাছাড়াও আমরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে বিভিন্ন জাতীয় দিবস চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা - ঢাকা’র ব্যানারে উদযাপন করি।

১১।

ইতিমধ্যে ফোরামের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনগত বাধ্য বাধকতার প্রতিপালন পূর্বক বিভিন্ন অর্থ বৎসরের অডিট কার্যক্রম রেজিস্টার্ড অডিট ফার্ম দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে।

১২।

চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা - ঢাকা’র  জন্য ৬ বছরের জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং ৫ বছরের হোস্টিং সহ ওয়েবসাইট ডেভেলপমন্টেপূর্বক ফোরামের ওয়েবসাইট  CFUD.ORG প্রবর্তন করা হয়েছে। যাহা অত্র কার্যকরী পরিষদের একটি নতুন উদ্যোগ। 

১৩।

এছাড়াও, ফোরামের আরো বেশকিছু অর্জন রয়েছে।

বিগত বৎসর গুলিতে আমরা "করোনা" মহামারীতে ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করে আর্থিক ভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হই। তার মধ্যেও ফোরামের যাবতীয় কার্যক্রম কার্য নির্বাহী সদস্যগণের প্রত্যক্ষ সহযোগীতা ও অনুদানের মাধ্যমে সম্পন্ন করি। তবে, করোনা মহামারী, জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এসব কারণে আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত মেজবান আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে সকলের সহযোগীতায় অত্যান্ত জাকজমক পূর্নভাবে উদযাপন করার আশাবাদ রয়েছে।

চট্টগ্রাম ফোরাম উত্তরা - ঢাকা